পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(পবিপ্রবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থার অভিযোগে এক শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর(বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। তবে বিষয়টি ১৬ ডিসেম্বর সকালে প্রকাশ পায়।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম অধ্যাপক ড. এ.কে.এম আব্দুল আহাদ বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান।
পবিপ্রবি প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, অধ্যাপক ড. এ.কে.এম আব্দুল আহাদ বিশ্বাস পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ এর ২০১৮-১৯ সেশনের এক শিক্ষার্থীকে মানসিক নিপীড়ন, ব্যক্তিগত আক্রমণ, অপমানজনক আচরণ ও যৌন হেনস্থা করে আসছিলেন। পরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালে প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ১২(১) এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধানের ৯(১) মোতাবেক সাময়িকভাবে চাকরি হতে বরখাস্ত করা হয়। একই সাথে তাকে কেনো চাকরি হতে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না সেই মর্মে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর আব্দুল আহাদ বিশ্বাসকে ডিজ্যাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে হেনস্থা, পরীক্ষায় নাম্বার আটকিয়ে দেওয়া সহ, গ্রেড কম দেওয়া, টানা ৪/৫ ঘন্টা অনলাইন ক্লাস নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আব্দুল আহাদ বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে পবিপ্রবির রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন,‘ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের কারনে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’